1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

তালায় কবি সিকান্দার আবু জাফরের জন্মদিনে নানা কর্মসূচি

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ৫৫২ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : আজ প্রখ্যাত কবি সিকান্দার আবু জাফরের ১০৩ তম জন্মদিন। তিনি ১৯১৯ সালের ১৯ মার্চ সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্ণ নাম সৈয়দ আল্ হাশেমী আবু জাফর মুহম্মদ বখ্ত সিকান্দার। পিতার নাম সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেম। পেশায় তিনি কৃষক ও ব্যবসায়ী ছিলেন। পিতৃব্য সৈয়দ জালালুদ্দীন হাশেম। তালা বি.দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর আবু জাফর কলকাতার রিপন কলেজে (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ) পড়েন।

১৯৪১ সালে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের নবযুগ পত্রিকায় যোগ দেন। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক মিল্লাতে চাকরি করতেন। আমাদের সংগ্রাম চলবেই তার রচনা বিখ্যাত গান। দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন।

পঞ্চাশের দশকে রেডিও পাকিস্তানের শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি সাহিত্য পত্রিকা দসমকালদ-এর প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্যিক হিসেবে সিকানদার আবু জাফরের যে খ্যাতি তার চেয়েও অনেক বেশি প্রসিদ্ধি সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে। সাহিত্য পত্রিকা সমকাল সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনা তার জীবনের একটি তাৎপর্যময় ঘটনা। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ‘সমকালে’র প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে পূর্ববঙ্গের সাহিত্য আন্দোলনে নতুন গতির সঞ্চার করেন।

এপত্রিকায় ষাটের দশকের নামি-দামি সকল কবি-লেখকের রচনা প্রকাশিত হয়। লেখার সাবধানি ও নৈর্ব্যক্তিক নির্বাচন, প্রতিভাবান নতুন লেখকদের মর্যাদা প্রদান, মনোযোগী সম্পাদনা এবং মুদ্রণ পরিপাট্যের জন্য সমকাল সকল কবি-লেখকের জন্য স্বপ্নের পত্রিকা হয়ে উঠেছিল। একই সঙ্গে এটি প্রগতিশীল বাংলা সাহিত্যধারার অগ্রগামী সাহিত্য পত্রে পরিণত হয়েছিল। তার নিজরেও প্রচুর লেখা এ পত্রিকায় তিনি প্রকাশ করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ‘বাংলা ছাড়ো’ কবিতাটি। ১৯৭৫ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তিনি ১৯৮৫ সালে মরণোত্তর একুশে পদক ও ১৯৯৯ সালে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।

কবির জন্মদিন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসাবে থাকছে ২১ মার্চ বিকালে তার পৈত্রিক ভিটাতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির স্থানীয় সমন্বয়কারী ও কবি পরিবারের সদস্য সৈয়েদ জুনায়েদ আকবর।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..